, ,
,

অনলাইন নিউজের ক্ষেত্রে দৈনিক জনপথ যেভাবে আস্থা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।

  • ব্রিটেন এবং সারা বিশ্বে দৈনিক জনপথের পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম হিসেবে। দৈনিক জনপথের ওয়েবসাইটে সাংবাদিকতার যে মান অর্জনের প্রচেষ্টা চালানো হয় তা নির্ভুল, পক্ষপাতহীন, স্বাধীন ও ন্যায্য।
  • আমাদের সম্পাদকীয় আদর্শ বলেঃ 'আমরা যা কিছুই করি তার মূল ভিত্তি হচ্ছে আমাদের সব ধরনের কন্টেন্টের ওপর আমাদের শ্রোতা-দর্শকদের বিশ্বাস। আমরা স্বাধীন, পক্ষপাতহীন এবং সৎ। নির্ভুলতা এবং পক্ষপাতহীনতার সর্বোচ্চ মান অর্জনের লক্ষ্যে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং জেনেশুনে এমন কোন বিষয়বস্তু আমরা দেবো না যাতে শ্রোতা-দর্শকরা বিভ্রান্ত হতে পারেন।'
  • 'সেই আস্থার সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে নিরপেক্ষতার প্রশ্নে আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের সব ধরনের আউটপুটে প্রতিটি বিষয়কে আমরা এমন নিরপেক্ষতার সাথে বিচার করবো যাতে ঐ বিষয়ে সবধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়। প্রাসঙ্গিক সব সত্যকে আমরা খোলা মন নিয়ে ও নিরপেক্ষভাবে বিচার করবো।'
  • আমরা বুঝতে পারি ইন্টারনেট থেকে বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকতাকে খুঁজে বের করা কঠিন কাজ। আমরা একই সঙ্গে বুঝতে পারি দৈনিক জনপথ কীভাবে সাংবাদিকতা করে থাকে মানুষ সে সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী। এসব কারণে দৈনিক জনপথ আরও বেশি করে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করবো আমাদের ওয়েবসাইটে আপনি কী ধরনের তথ্য পড়তে পাবেন, বা দৃশ্য দেখতে পারবেন। সেই তথ্য কোথা থেকে বা কার কাছ থেকে আসছে। এবং খবরটি কীভাবে লেখা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দৈনিক জনপথ কেন একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠান তা আপনি নিজেই যাচাই করতে পারবেন। বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকতার নির্দেশকগুলো আমরা ''মেশিন রিডেবল'' করছি, অর্থাৎ সার্চ এঞ্জিন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো এগুলো সহজেই খুঁজে পাবে।
আদর্শ আচরণ

দৈনিক জনপথ দীর্ঘদিন ধরে তার নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুসরণ করে আসছে। আমাদের সব কন্টেন্ট এবং সাংবাদিকদের মান কী হবে তা নির্ধারিত হয় এই নীতিমালা থেকে। আমাদের সংবাদ-কক্ষে এই নীতিমালা কীভাবে প্রয়োগ করা হয়, তার জন্য এই পাতায় আমরা প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।

সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ঘোষণাঃ

দৈনিক জনপথের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনস্বার্থে কাজ করা। জনগণকে তথ্য প্রদান করে, শিক্ষাদান করে এবং বিনোদন সেবা দিয়ে, এবং নিরপেক্ষ, উচ্চমানের ও সম্পূর্ণভাবে লক্ষণীয় বিষয়বস্তুর মাধ্যমে সব ধরনের শ্রোতা-পাঠকের সেবা করা। দৈনিক জনপথের সনদে এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানান যাবে।

মালিকানার কাঠামো, অর্থায়ন এবং অনুদানঃ

আমাদের সম্পাদকীয় সততা বিনষ্ট হয় এমন যে কোন বিধান এবং স্বার্থের প্রভাব থেকে আমরা সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। আমাদের শ্রোতা-দর্শকরা আশ্বস্ত থাকতে পারেন যে কোন ব্যক্তি-স্বার্থ, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক চাপ কিংবা বাইরের কোন স্বার্থের দ্বারা আমাদের সিদ্ধান্ত কোনভাবেই প্রভাবিত হবে না। ব্রিটেনে এবং বাইরে দৈনিক জনপথের অর্থায়ন কীভাবে হয়, তা জানতে দৈনিক জনপথের স্বাধীনতা সম্পর্কে দৈনিক জনপথের সনদ দেখুন।

কর্মচারীদের বহুতা সম্পর্কে রিপোর্টঃ

সম-অধিকার বৃদ্ধিতে দৈনিক জনপথ কী কাজ করেছ সে সম্পর্কে জানতে এখানে দেখতে পারেন।

ভুল সংশোধনঃ
  • নির্ভুল থাকার প্রশ্নে দৈনিক জনপথ অঙ্গীকারাবদ্ধ। সম্পাদকীয় নীতিমালায় ভুল সংশোধন সংক্রান্ত নিয়মকানুন রয়েছে।
  • আমাদের সকল আউটপুটের ভিত্তি হবে নির্ভুল সূত্র ও জোরদার সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট ভাষায় তা পরিবেশিত হবে। আমরা যা জানিনা, সেই কথাটা সততার সঙ্গে এবং মুক্তকণ্ঠে আমাদের স্বীকার করে নিতে হবে। ভিত্তিহীন গুজব আমরা পরিহার করে চলবো। যেসব দাবি, অভিযোগ এবং অন্যান্য যে বিষয়ের কোন প্রমাণ থাকবে না, তা তুলে ধরার সময় সূত্র উল্লেখ করতে হবে।
  • কোথাও ভুল হলে আমরা খোলা মন নিয়ে তা স্বীকার করে নেব এবং সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতাকে উৎসাহিত করা হবে।
  • প্রকাশিত হওয়ার পর কোন নিবন্ধে যদি ভুল সংশোধন করা হয়ে থাকে তবে টেকস্টের শেষে একটি নোট যোগ করা হবে যেখানে সংশোধনের কারণ এবং তারিখ উল্লেখ করা হবে। ছোটখাটো ভুল, যার কারণে সম্পাদকীয় অর্থে কোন ধরনের পরিবর্তন আসবে না (যেমন, নামের ভুল বানান ঠিক করা), সেগুলোতে কোন নোট যোগ করতে হবে না।
  • সীমিত সময়ের প্রয়োজনে না করা হলে, অনলাইনে প্রকাশিত সব বিষয়বস্তু একটি স্থায়ী আর্কাইভের অংশ বলে বিবেচিত হবে, এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একে মুছে ফেলা যাবে না। ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে যেখানে আইনি কারণ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ঝুঁকি কিংবা সম্পাদকীয় নীতিমালার গুরুতর লঙ্ঘন রয়েছে সেখানে কন্টেন্ট সরিয়ে দেয়া যাবে।
সাংবাদিক বিশেষজ্ঞঃ

দৈনিক জনপথে মৌলিক তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদনগুলিতে সাংবাদিকের বাই-লাইন (সাংবাদিকের নাম) ব্যবহার করা হয়। কোন বিষয়ে কোন সাংবাদিক বিশেষজ্ঞ হলেও নিবন্ধে তার নাম ব্যবহার হয়ে থাকে। সাধারণ সংবাদ যেগুলো সাধারণত বার্তা সংস্থা, দৈনিক জনপথ নিউজগ্যাদারিং ও দৈনিক জনপথ ব্রডকাস্ট আউটপুটসহ নানা ধরনের সূত্রের ভিত্তিতে তৈরি হয়, কিংবা বেশ কয়েকজন সাংবাদিক মিলে নিবন্ধটি তৈরি করেন, সেক্ষেত্রে বাই-লাইন ব্যবহার করা হয় না।

কাজের ধরণঃ

তথ্যভিত্তিক সংবাদ ও মতামতের মধ্যে পার্থক্যকে দৈনিক জনপথ নিউজ স্বীকার করে। মেশিনে পাঠযোগ্য লেবেলকে আমরা ছয়টি ভাগে ভাগ করেছি।

খবরঃ

ওয়াকিবহাল সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করে কিংবা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অথবা সাংবাদিকের উপস্থিতিতে বা তার মাধ্যমে সরাসরিভাবে যাচাইয়ের মাধ্যমে যে সাংবাদিকতা করা হয়।

বিশ্লেষণঃ

সমসাময়িক ঘটনাবলী বা ধারা বুঝতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য বিশেষজ্ঞ জ্ঞানসম্পন্ন কোন লেখক, দৈনিক জনপথেরে সাংবাদিক কিংবা দৈনিক জনপথের বাইরের কেউ, যে নিবন্ধ তৈরি করেন।

শ্রোতা-দর্শকের কাছে প্রশ্নঃ

শ্রোতা-দর্শকের সরাসরি মন্তব্য জানার জন্য যে বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়।

ব্যাখ্যাঃ

খবরের পেছনের ঘটনা/পরিস্থিতি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য যে তথ্যভিত্তিক বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়।

মতামতঃ

দৈনিক জনপথ নিজে নিরপেক্ষ এবং নিজের মতামত প্রকাশে বিরত থাকে। তবে কখনও কখনও নির্দিষ্ট নতুন ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের স্বার্থে বাইরের বিশেষজ্ঞের ব্যক্তিগত মতামত প্রচার করে থাকে।

পর্যালোচনাঃ

কোন ঘটনা, শিল্পকর্ম ইত্যাদির ওপর কোন বিশেষ ব্যক্তির সুচিন্তিত মতামত।

তথ্যনির্দেশ ও উদ্ধৃতিঃ

তার বিষয়বস্তু এবং প্রকৃতির সাথে মিল রেখে আমাদের তৈরি কন্টেন্ট-এর ভিত্তি হবে খাঁটি সূত্র ও সবল সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং এর ভাষা হবে পরিষ্কার এবং যথাযথ। আমরা যা জানিনা তা স্বীকার করে নিতে আমাদের কোন দ্বিধা নেই। এবং আমরা তা নিয়ে ভিত্তিহীন গুজবও ছড়াই না। যদি দৈনিক জনপথ কোন একটি সূত্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে খবর তৈরি করে, তাহলে সেই সূত্র উল্লেখ করা হয়। আমরা যে বিষয়ে রিপোর্টিং করছি সে সম্পর্কে যাতে আপনি নিজেই বিচার-বিবেচনা করতে পারেন, তার সুবিধার্থে আমরা সূত্র হিসেবে সরকারি প্রতিবেদন, পরিসংখ্যান ইত্যাদি উল্লেখ করবো। যেখানে প্রযোজ্য, অধিকতর তথ্য প্রদানের সুবিধার্থে আমরা বাইরের ওয়েবসাইটের লিংকও দিয়ে দেব।

প্রণালী-বিদ্যাঃ

জটিল তদন্ত বা ডেটা সাংবাদিকতার মত তথ্যানুসন্ধানী খবর পরিবেশনের সময় আমরা উপাত্তগুলো, যেমন স্যাম্পলের আকার, ত্রুটির সম্ভাবনার হার, তথ্য জোগাড়ের কৌশল, স্থান, সময় ইত্যাদি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো, এর সম্পর্কে সতর্কতার দিকগুলো উল্লেখ করবো।